![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
৩১ জুলাই খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি ৫৫ টাকা, ৮ আগস্ট তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫ টাকা এবং রোববার ঠেকে ৯০ টাকায়।
ভোক্তারা অভিযোগ করছেন, এভাবে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবছরই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেছেন— "প্রতিবছর একই কৌশলে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।"
রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫০ টাকা। এতে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৮-২২ টাকা। খুচরা পর্যায়ে দাম ৮০-৮৫ টাকার মধ্যে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারেও ভালোমানের পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে।
আড়তদাররা বলছেন, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজার পুরোপুরি দেশি উৎপাদনের ওপর নির্ভর করছে। ভারি বৃষ্টির কারণে মোকামগুলোতে সরবরাহ কম, পাশাপাশি পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। এসব কারণে দাম বাড়ছে বলে তাদের দাবি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে তিন স্তরে (কৃষক, পাইকারি ও খুচরা) তদারকি করা হচ্ছে। দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়ালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজ আমদানি সচলের জন্য সুপারিশ করা হবে।