![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে চালানো বর্বর হামলায় হাজারো রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে, অসংখ্য নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, লক্ষাধিক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই ঘটনার ন্যায়বিচার এখনো হয়নি।
রোহিঙ্গারা দাবি জানান—
- দ্রুত আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা
- হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা
- নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা
তাদের ভাষ্য, রাখাইনে স্থিতিশীল অবস্থা তৈরি না হলে ফেরত যাওয়া সম্ভব নয়।
ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত পথসভা, মিছিল ও মানববন্ধনে অংশ নিয়ে রোহিঙ্গারা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং নিহত স্বজনদের ছবি ও দাবি-সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। নিহতদের স্মরণে মোনাজাত করা হয়।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের সভাপতি মোহাম্মদ জুবাইর বলেন,
“২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ইতিহাসের কলঙ্কিত দিন। আমরা শুধু শোক করি না, বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় আছি।”
রোহিঙ্গা নেতা হোসেন ইব্রাহিম বলেন,
“শত শত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক আদালতের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক।”
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিরাজ আমীন জানান, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। আরআরআরসি কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার প্রক্রিয়ার দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়েছেন।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ ক্যাম্পে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি। তবে গত আট বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।