![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
সম্প্রতি রুশ তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “ট্রাম্পের অনেক বক্তব্যই আসলে হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই বৈধ বা ন্যায্য নয়।”
পেসকভ আরও বলেন, “যেকোনো সার্বভৌম দেশের স্বাধীনভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে।” যদিও তিনি সরাসরি ভারতের নাম উল্লেখ করেননি, কিন্তু তার বক্তব্যে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে—তারা দিল্লির পাশে রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ ছয় বছর পর চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি। একই সম্মেলনে যোগ দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।
চীন-ভারত সম্পর্ক ২০২০ সালের লাদাখ সংঘাতের পর থেকে চাপে থাকলেও, বর্তমানে উভয় দেশ উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নিচ্ছে। গত বছরের অক্টোবরে রাশিয়ার ব্রিকস সম্মেলনে মোদি ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের পর থেকে এই উদ্যোগ আরও গতি পেয়েছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিয়ানজিন সম্মেলনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্যসহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হবে। পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা ও চাপ প্রয়োগের কৌশলের বিপরীতে রাশিয়া-চীন-ভারতের মধ্যে এক নতুন কৌশলগত জোট গড়ে উঠছে। এটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, গোটা বিশ্ব রাজনীতির জন্যই একটি নতুন মেরুকরণের বার্তা বহন করছে।