![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
বৈঠকে চিফ অব স্টাফ ইয়াল জামির সতর্ক করে বলেন, “গাজার অবশিষ্ট অংশ দখল করলে ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে জড়িয়ে যেতে পারে এবং এতে জিম্মিদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।”
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্যমতে, গাজায় প্রায় দুই বছরের এই যুদ্ধে ইতোমধ্যেই ৭৫ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে, যখন হামাসের যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে সশস্ত্র হামলা চালায়।
তবে গাজায় দীর্ঘমেয়াদি সামরিক শাসন, ভূখণ্ড দখল কিংবা সেখানে ইহুদি বসতি পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আগেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। সেনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, এসব পদক্ষেপ কেবল যুদ্ধ পরিস্থিতিকে জটিল করবে।
এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, নেতানিয়াহুর গাজা পরিকল্পনা যদি বাস্তব হয়, তবে তা হবে ‘গভীর উদ্বেগজনক’। দুই কোটিরও বেশি জনসংখ্যার এই ভূখণ্ডে যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় বাড়ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ।
নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, জিম্মি উদ্ধারে সেনাবাহিনী ব্যর্থ হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত যারা ছাড়া পেয়েছেন, তারা কূটনৈতিক চেষ্টাতেই মুক্তি পেয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু গাজা ইস্যুতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন চতুর্থ আরেকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা। তার মতে, প্রধানমন্ত্রী এখনো গাজায় হামাসের ওপর চাপ বাড়াতে সামরিক অভিযান সম্প্রসারণে আগ্রহী।
এদিকে বুধবার বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ নেতানিয়াহুর সঙ্গে ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে বলেন, “ইসরায়েলি জনগণ এখন আর যুদ্ধ চায় না। গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা হবে খুবই ভুল সিদ্ধান্ত।”