ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিদেশি ষড়যন্ত্র, নির্বাচনের আগেই অস্থিতিশীলতার চেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও লুটপাটের চিত্র প্রকাশ্যে আসে। শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা জনতার ভয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আশ্রয় নেন। এর আগে-পরে দলের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি ও নেতারাও নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়েন। বর্তমানে বিদেশে বসেই নিষিদ্ধ ঘোষিত দলটি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুলের পরিকল্পনা করছে।

ক্ষমতা হারানোর এক বছর পরও শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের মধ্যে অনুশোচনার কোনো চিহ্ন নেই। বরং ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বসে তারা সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যারা দলকে আজকের এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে, তারাই আবার বিদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে।

সম্প্রতি কলকাতায় ‘বাংলা খাবার’ রেস্টুরেন্টে পলাতক নেতাদের এক বৈঠকে ওবায়দুল কাদের, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, মির্জা আজম, যুবলীগ নেতা নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নির্বাচনের আগে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির নানা পরিকল্পনা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এসব ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বহুজন গ্রেফতার হয়েছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে পুনরায় সক্রিয় করার চেষ্টায় মেজর সাদিকুল ও তার স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে আটক করা হয়েছে। তারা সারা দেশে কর্মীদের উসকে দিয়ে রাজধানীতে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাজনৈতিক মহল বলছে, আওয়ামী লীগ যদি অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা না নেয়, তবে বিদেশি ষড়যন্ত্র ও দলীয় ভেতরের স্বজনপ্রীতির কারণে দলটির ভবিষ্যৎ অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়তে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post