![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
চাল ধোয়া জলের পুষ্টিগুণ কী?
চাল ধোয়া জল বা রাইস ওয়াটারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে:
- আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম
- ভিটামিন বি-৭ (ইনোসাইটল)
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- প্রাকৃতিক প্রোটিন ও মিনারেলস
এই সব উপাদান চুলের গোড়া থেকে শক্তিশালী করে, চুলের ফাইবারের গঠন ঠিক রাখে এবং চুলের স্বাভাবিক ঝলকানি ফিরিয়ে আনে। চাল ধোয়া জলে থাকা ‘মাড়’ চুলকে মসৃণ করে, শুষ্কতা দূর করে এবং চুল পড়া কমায়।
চাল ধোয়া জল তৈরির সহজ পদ্ধতি
- ভাত রান্নার পর ঝরিয়ে দেওয়া চালের মাড়ের জল ঠান্ডা করুন।
- পানি ও চালের মাড় ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা ঘরে রেখে ফার্মেন্টেশন করতে দিন।
- ১২-২৪ ঘণ্টা পর চাল ধোয়া জল চুলে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত।
কীভাবে ব্যবহার করবেন চাল ধোয়া জল?
১. শ্যাম্পুর পর ব্যবহার
শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার করার পর শেষ ধাপে চাল ধোয়া জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলের গোড়া থেকে শুরু করে চুলের কুন্ডলী পর্যন্ত পুষ্টি সরবরাহ হয়। চুল হয় মসৃণ, ঝলমলে ও শক্তিশালী।
২. কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার
যারা কন্ডিশনার ব্যবহার করতে চান না, তারা শ্যাম্পুর পর চাল ধোয়া জল দিয়ে চুল মসৃণ ও জটমুক্ত করতে পারেন।
৩. স্প্রে হিসেবে ব্যবহার
রাইস ওয়াটারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে স্প্রে বোতলে রাখুন। প্রয়োজন মতো চুলে স্প্রে করে মালিশ করুন। এটি চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে ও চুল পড়া কমায়।
কেন চাল ধোয়া জল বর্ষার সময় বিশেষ উপকারী?
বর্ষার সময় চুল সাধারণত ভিজে থাকার কারণে দুর্বল ও নরম হয়। চাল ধোয়া জল চুলের পুষ্টি যোগায় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা কমে এবং চুল ঝলমলে ও শক্তিশালী থাকে। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়ায় চুল ও ত্বকে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
বর্ষায় চুলের যত্ন নিতে চাইলে চাল ধোয়া জল ব্যবহার করা একদম সঠিক ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল হবে সুস্থ, ঝলমলে ও প্রাণবন্ত। তেল বা রাসায়নিক পণ্য থেকে বিরত থেকে এই সহজ ঘরোয়া টিপস আপনাকে অনেক উপকার দেবে।