![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
আজ শুক্রবার ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে একাধিক ভালো আক্রমণ গড়ে উঠলেও ফরোয়ার্ডরা সুযোগ নষ্ট করেন। তবে ২০ মিনিটে স্বপ্না রানীর কর্নার থেকে শিখার নিখুঁত হেডে প্রথম গোল পায় বাংলাদেশ।
৩৩ মিনিটে অলিম্পিক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শান্তি মার্ডি—তার নেওয়া কর্নার সরাসরি পোস্টে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। তিন মিনিট পর আবারো মার্ডির কর্নার থেকে নবীরণ খাতুন হেডে গোল করেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাগরিকার বাড়ানো বল আলতো শটে জালে জড়িয়ে ৪-০ করেন তৃষ্ণা রানী।
বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৫৭ মিনিটে গোলমুখের জটলার ফায়দা তুলে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তৃষ্ণা। ৭৩ মিনিটে সাগরিকা একক প্রচেষ্টায় গোল করে ব্যবধান ৬-০ করেন। ৮২ মিনিটে সাগরিকার পাস থেকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা। শেষ বাঁশি বাজার আগে মুনকি আক্তারের গোল ৮-০ তে জয় নিশ্চিত করে।
এই জয়ের ফলে পরপর দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘এইচ’-এর শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেই মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত হবে, তবে রানার্সআপ হয়েও সেরা তিনে থাকলে আগামী বছর থাইল্যান্ডে খেলার সুযোগ মিলবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা রোববার, যখন তারা শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে। দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে হারিয়েছে ৯-০ গোলে এবং আজ সন্ধ্যায় খেলবে স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে—যারা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে।