![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
সোমবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মূলত রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসান ও যুদ্ধ-পরবর্তী ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, শান্তি চুক্তি হলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠাবে না। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমার লক্ষ্য মানুষ হত্যা বন্ধ করা। আমি চাই না আর কোনো প্রাণহানি ঘটুক।”
ফক্স নিউজের পক্ষ থেকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে কি যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠাবে? জবাবে ট্রাম্প বলেন, “না, তা কখনো হবে না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি সেই আশ্বাস দিচ্ছি।”
এদিকে আলোচনার প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আরও নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে সম্ভাব্য এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “আমি সোমবার (১৮ আগস্ট) পুতিনকে ফোন করেছি এবং আশা করি, তার আচরণ ইতিবাচক হবে। যদি না হয়, তবে পরিস্থিতি কঠিন হতে পারে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি বলছি না যে জেলেনস্কি ও পুতিন কখনো সেরা বন্ধু হয়ে উঠবেন। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তাদের হাতেই।”
বৈঠকের পর ইউরোপীয় নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। শান্তিচুক্তি হলে এসব নিশ্চয়তা কার্যকর হবে। একইসঙ্গে পুতিন ও জেলেনস্কির সম্ভাব্য বৈঠক নিয়েও অগ্রগতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।