![]() |
ছবি সংগৃহীত: দৈনিক সংগ্রাম |
সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। ঢাকার ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গণ-অভ্যুত্থানের সময় তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
২৩ জুলাই (বুধবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ইকবাল হোসাইন ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, যা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী “পলায়নের শামিল” এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বর্তমানে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত এই কর্মকর্তা বরখাস্তের সময় খোরপোষ ভাতা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর দিক হলো, বরখাস্তের এই সিদ্ধান্তের আগে একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে একটি মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখাচ্ছেন ইকবাল হোসাইন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়:
"গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।"
এ বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা ও তদন্ত। সূত্র জানায়, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার দায়ে ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। ইকবাল হোসাইনের বরখাস্তও সেই ধারাবাহিকতার অংশ হলেও ভাইরাল ভিডিওটি বিষয়টিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।